উপন্যাস
জীবনের গতিধারা লিপিবদ্ধ করে আছে যারা...
মণিকর্ণিকার আশ্চর্য কিছু উপন্যাসের সঙ্গে আপনার দেখা হোক!

দেশ কাল
অশোক চৌধুরী
১৯ শতকের বাংলা। রামকৃষ্ণের জন্ম ও জীবন।
কবিরাজ বিমলাচরণ চক্রবর্তী কেন্দ্রিক উপন্যাস।
হিন্দু প্যাট্রিয়ট। বিদ্যাসাগর। সিপাহী বিদ্রোহ।

নিঃশব্দ পাহাড়
শুভদীপ বড়ুয়া
আফগানিস্তানের শাওর বিপ্লবের আঁচে পা রাখে মার্কিন দাবা সাংবাদিক স্যাম। তার সঙ্গে আলাপ হয় বিষণ্ণ আফগান সুন্দরী মাহিলের। অথচ তাদের ভেতর প্রাচীর হয়ে দাঁড়ায় কাল। উত্তপ্ত কাল। দ্রুত বদলে যায় আফগানিস্তান, সঙ্গে স্যাম ও মাহিলের জীবন।

নিঃশব্দ পাহাড়
(দ্বিতীয় খণ্ড)
শুভদীপ বড়ুয়া
একবার আফঘানিস্তান ত্যাগ করেও আবার ফিরে আসে স্যাম। মাহিল তাকে ডাকছে। মার্কিনি চর সন্দেহে গ্রেপ্তার হয় স্যাম। বহু চেষ্টার পর সে পালায়। কিন্তু তারপর?
তিন খণ্ডে সমাপ্য এই সুদীর্ঘ উপন্যাসের প্রতিটি খণ্ডই স্বতন্ত্র, আশ্চর্য, ও অদ্বিতীয়।

চিঠি দিয়ো লাল তারা
শাশ্বত বন্দ্যোপাধ্যায়
দুচোখে সমুদ্র চষার স্বপ্ন নিয়ে চুপিচুপি বাড়ি ছেড়ে চলে যায় বিজন। বহু বছর পর এক বিশেষ কারণে ফিরে এসে দ্যাখে তার দাদার ছেলে রুকু বড়ো সুন্দর হয়েছে। বিজনকে বড্ড ভালোবেসে ফেলে রুকু। আর অমনি আশ্চর্য কত কিছু ঘটতে থাকে ওদের জীবন।......পরিবারে জন্ম নেয় তীব্র টানাপোড়েন। বিজু কি তাহলে চলে যাবে? আর রুকু, সে-ই বা কেমন করে থাকবে তার কাকুমণিকে ছাড়া? বড়ো হওয়ার পথে কোত্থেকে শক্তি পাবে সে?

নৃমুণ্ডের মীমাংসা
রাজা সরকার
মুক্তিযুদ্ধের টানাপোড়েনের মাঝে পড়ে যায় সম্পন্ন হিন্দু গৃহস্থ ধলা মজুমদার ও তার পরিবার। দেশভাগের পরেও বুক-ভরা আশা নিয়ে তারা রয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশে। অথচ দিনে দিনে চারধারে জেগে ওঠে অসহিষ্ণুতা, অচেনা হয়ে যায় জন্মাবধি চেনা মানুষজন। একে একে দেশত্যাগ করে অজস্র হিন্দু পরিবার; কেউ কেউ বদলে নেয় ভিটেমাটি। ধলা পারে না। কোনো ভয়ের বশে দেশত্যাগ করাকে সে মনে করে পরাজয়। মনে করে জীবনের পরম অসার্থকতা।...খণ্ড খণ্ড হয় জন্মভূমি। কেবলই আরও আরও পৃথক হতে থাকে রাষ্ট্র ও দেশ।

ভরতরাজার দুটুকরো দেশ
পরিতোষ সরকার
বারবার ভাগ হয় ভূখণ্ড। তার প্রাণ নেই। কিন্তু যারা পরিকল্পনা করে এই বাটোয়ারার তারা খেয়াল করে না একবার ভূভাগ হলেই সহস্র টুকরোয় ভেঙে যায় মানুষ। সেই কোন কাল থেকেই একথা বেমালুম ভুলে থাকছে বিভেদের কাণ্ডারিরা। এই বিস্মৃতির শিকার হচ্ছে ভরত সুবল গৌরী লক্ষ্মী মালতি।...

কল্পবাস
দেবব্রত পাল
পরনে গেরুয়াবসন, বহুকাল পর পিতৃগ্রামে এসে দাঁড়ালেন সূর্যশেখর। কল্পবাস গ্রাম। যার ভূত-ভবিষ্য রঘুবাবু আর বিলাস ঘোষের মতো নেতা-মস্তানদের আঙুলে নাচ করে। ... কোন অতীতের তাড়নায় অহরহ জ্বলছেন সূর্যশেখর ওরফে সান? আর কোনো লুকোনো নাম আছে নাকি তার?

সর্জন
পল্লব দাস
...প্রতিটি জীবন্ত ছবি, সিনেমার মতন। তিনি কলমের খোঁচায় একটি করে গেঁথে আটকে দিতে থাকেন খাতার পাতায়। এক একটি ছবি হয়ে যায় শব্দের রাশি। শব্দ দিয়ে তৈরি হয় একটার পর একটা গল্প— তার নিজের গল্প। মিহিরের গল্প। মিহির জানেন, এসবই তার জীবন, তার অতীত, তার বর্তমানজুড়ে লেখা। এ বই আসলে আয়নার মতন।

এক পুঁচকে কালো মাছের গল্প
সৈকত ভট্টাচার্য্য
সামাদ বেহরাঙ্গী ছিলেন ইরান দেশের ‘উদয়ন পণ্ডিত’। বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধে এমন এক ‘হীরকরাজার দেশ’ বোধহয় জেগে উঠেছিল বাস্তবের মাটিতে। এবং ছবির পর্দার রাজার চেয়ে বাস্তবের রাজার ক্ষমতা সচরাচর অনেক বেশিই হয়। আর তাই উদয়ন পণ্ডিতদের মৃত্যু হয় বারবার। যদিও এই মৃত্যু অসংখ্য মানুষের মধ্যে একজনকে হলেও নাড়া দিয়ে যায়, আর সে-ই ধীরে ধীরে হয়ে ওঠে আগামীর উদয়ন পণ্ডিত।

তরুবালা ও এক পলায়নকারী
মধুময় পাল
গলিতে পুলিশ ঢুকছে। চালে টর্চের আলোর ওড়াউড়ি। সায়ম সহজে ধরা দেবে না। সে দ্যাখে, এক অপরূপা নেমেছে মাটিতে, ফুল-ছাপ শাড়ি কুণ্ঠিত করে তার শরীর ফুটেছে কমলকলি হয়ে।...
.jpg)
বাঘমামার ভ্রমণ
সুদেষ্ণা মৈত্র
বাঘমামার ভ্রমণের ওপর একটি শিশুপাঠ্য উপন্যাস।
(পক্ষীরাজ প্রকাশনী)

বর্গমাইলের পদাতিক
রাজা সরকার
রাজনৈতিক ঘূর্ণাবর্তে পড়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে চলে আসে সুবোধ। প্রথমে ঊর্মিলার আশ্রয়ে, তারপর জাহানারার সঙ্গে শুরু হয় তার আকস্মিক সংসার। কিন্তু আবার দেশে ফেরা। সেখানে কুসুম রয়েছে। রয়েছে অতিথপুর। আর কি ফিরে আসে সে?

সাবর্ণিজাতক
রক্তিম মুখার্জি
মর্ত্যলোকে দুর্গাপুজো প্রচলনের ইতিহাস-কল্পনা মিশ্রিত এক অপূর্ব গাথা।