top of page
কল্পবাস । দেবব্রত পাল
পরনে গেরুয়াবসন, বহুকাল পর পিতৃগ্রামে এসে দাঁড়ালেন সূর্যশেখর। কল্পবাস গ্রাম। যার ভূত-ভবিষ্য রঘুবাবু আর বিলাস ঘোষের মতো নেতা-মস্তানদের আঙুলে নাচ করে। যার সরল জল-আলো-বাতাসকে ফালা ফালা করে ভাটিউলি লবঙ্গর খেউড়। এই লবঙ্গ আর বিলাসের শঙ্খ লাগে। অথচ বিলাসের ঘরে শিক্ষিতা সুন্দরী বউ কল্পনা। ছেলের পাপে জ্বলে মরেন নিশি ঘোষ। বৌমাকে ভর্তি করে দেন ইস্কুলে। অঙ্গারের মতো জ্বলতে জ্বলতে কল্পনা পেরিয়ে যায় উত্তরণের এক-এক চৌকাঠ। আর সমস্ত কিছুকে যেন অজান্তেই বুকের ওপর ধারণ করেন ঠাকুরমশাই সূর্যশেখর। কল্পবাস ছাড়তে মন চায় না। অথচ ছাড়তে যে হবেই। কিন্তু কেন? কোন অতীতের তাড়নায় অহরহ জ্বলছেন সূর্যশেখর ওরফে সান? আর কোনো লুকোনো নাম আছে নাকি তার?
bottom of page