Search Results
91 results found with an empty search
- ভ্রমণকাহিনি-৭ | Manikarnika.Pub
ভ্রমণকাহিনি বিশ্বদর্শনের দর্পণ... পালামৌ সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় পাহাড়-জঙ্গলে পরিপূর্ণ অপরূপ এক অঞ্চলের কথা ‘বঙ্গদর্শন’ পত্রিকায় লিখেছিলেন সঞ্জীবচন্দ্র, ‘পালামৌ’-এর প্রাণছন্দ ও রূপের তরঙ্গগুলি ছড়িয়ে আছে মিতায়তন এই ভ্রমণকাহিনিতে। শুধু লেখকের শব্দবাহিত চিত্র নয়, তার সঙ্গে হাতে-আঁকা কয়েকটি সুন্দর ছবি দিয়ে পালামৌ-ভ্রমণপথটি সাজাবার প্রয়াস করেছে মণিকর্ণিকা প্রকাশনীর এই সংস্করণ। আরও পড়ুন...
- Shipping policy | Manikarnika.Pub
Shipping policy Manikarnika Prakashani ("we" and "us") is the operator of (https://www.manikarnikaprakashani.com/) ("Website"). By placing an order through this Website you will be agreeing to the terms below. These are provided to ensure both parties are aware of and agree upon this arrangement to mutually protect and set expectations on our service. 1. General Subject to stock availability. We try to maintain accurate stock counts on our website but from time-to-time there may be a stock discrepancy and we will not be able to fulfill all your items at time of purchase. In this instance, we will fulfill the available products to you, and contact you about whether you would prefer to await restocking of the backordered item or if you would prefer for us to process a refund. 2. Shipping Costs Shipping costs are calculated during checkout based on weight, dimensions and destination of the items in the order. Payment for shipping will be collected with the purchase. This price will be the final price for shipping cost to the customer. 3. Returns 3.1 Return Due To Change Of Mind Manikarnika Prakashani will happily accept returns due to change of mind as long as a request to return is received by us within 7 days of receipt of item and are returned to us in original packaging, unused and in resellable condition. Return shipping will be paid at the customers expense and will be required to arrange their own shipping. Once returns are received and accepted, refunds will be processed to store credit for a future purchase. We will notify you once this has been completed through email. (Manikarnika Prakashani) will refund the value of the goods returned but will NOT refund the value of any shipping paid. 3.2 Warranty Returns Manikarnika Prakashani will happily honor any valid warranty claims, provided a claim is submitted within 90 days of receipt of items. Customers will be required to pre-pay the return shipping, however we will reimburse you upon successful warranty claim. Upon return receipt of items for warranty claim, you can expect Manikarnika Prakashani to process your warranty claim within 7 days. Once warranty claim is confirmed, you will receive the choice of: (a) refund to your payment method (b) a refund in store credit (c) a replacement item sent to you (if stock is available) 4. Delivery Terms 4.1 Transit Time Domestically In general, domestic shipments are in transit for 2 - 7 days 4.2 Transit time Internationally Generally, orders shipped internationally are in transit for 4 - 22 days. This varies greatly depending on the courier you have selected. We are able to offer a more specific estimate when you are choosing your courier at checkout. 4.3 Dispatch Time Orders are usually dispatched within 2 business days of payment of order Our warehouse operates on Monday - Friday during standard business hours, except on national holidays at which time the warehouse will be closed. In these instances, we take steps to ensure shipment delays will be kept to a minimum. 4.4 Change Of Delivery Address For change of delivery address requests, we are able to change the address at any time before the order has been dispatched. 4.5 P.O. Box Shipping Manikarnika Prakashani will ship to P.O. box addresses using postal services only. We are unable to offer couriers services to these locations. 4.6 Items Out Of Stock If an item is out of stock, we will dispatch the in-stock items immediately and send the remaining items once they return to stock. 4.7 Delivery Time Exceeded If delivery time has exceeded the forecasted time, please contact us so that we can conduct an investigation. 5. Tracking Notifications Upon dispatch, customers will receive a tracking link from which they will be able to follow the progress of their shipment based on the latest updates made available by the shipping provider. 6. Parcels Damaged In Transit If you find a parcel is damaged in-transit, if possible, please reject the parcel from the courier and get in touch with our customer service. If the parcel has been delivered without you being present, please contact customer service with next steps. 7. Duties & Taxes 7.1 Sales Tax Sales tax has already been applied to the price of the goods as displayed on the website 7.2 Import Duties & Taxes Import duties and taxes for international shipments will be pre-paid, without any additional fees to be paid by customer upon arrival in destination country 8. Cancellations If you change your mind before you have received your order, we are able to accept cancellations at any time before the order has been dispatched. If an order has already been dispatched, please refer to our refund policy. 9. Insurance Parcels are insured for loss and damage up to the value as stated by the courier. 9.1 Process for parcel damaged in-transit We will process a refund or replacement as soon as the courier has completed their investigation into the claim. 9.2 Process for parcel lost in-transit We will process a refund or replacement as soon as the courier has conducted an investigation and deemed the parcel lost. 10. Customer service For all customer service enquiries, please email us at manikarnika.pub@gmail.com
- আয়নাতন্ত্র । ঋতম চক্রবর্তী | Manikarnika.Pub
আয়নাতন্ত্র । ঋতম চক্রবর্তী বিষয় : গল্প প্রচ্ছদ : ওডিলোন রেডন প্রকাশনা : মণিকর্ণিকা মূল্য : ₹৩০০ যোগাযোগ (কল ও হোয়াটস্অ্যাপ) : 8240333741 আগ্রহী পাঠকদের জন্য বইটির একটি গল্প এখানে দেওয়া হল। অ্যান্ড্রোমিডা ঋতম চক্রবর্তী ১. মহাশূন্য থেকে পৃথিবীর যে আলোকিত অংশটা দেখা যাচ্ছে এখন, ওইখানে আমার শহর, ওখানেই তোমরা সবাই আছ। এখন একটা স্পেসস্টেশনে থেমে আছি। আগামীকাল যখন একটা ভেলোসিটি থ্রাস্টার আরও গভীর মহাশূন্যের দিকে ঠেলে দেবে আমাদের মহাকাশযানটাকে, তখন তোমাদের ওখানে রাতে সবাই হয়তো ঘুমিয়ে থাকবে বিছানায়। তাই আগাম শুভরাত্রি। ২. চাঁদের পাশ দিয়ে চলে যাচ্ছি। পৃথিবী থেকে চাঁদকে যতটা সুন্দর দেখায়, চাঁদ থেকে পৃথিবীকেও ঠিক ততটাই। তোমরা কেমন আছ? ৩. পুচুর শরীর খারাপের খবরটা পেয়েছি গত-পরশু। তারপর কমিউনিকেশন ছিল না তাই আর কিছু জানি না। খুব চিন্তা হচ্ছে। জানিও। ৪. এইমাত্র মঙ্গলের কক্ষপথ পেরোলাম, যদিও স্বচক্ষে গ্রহটাকে দেখতে পাইনি। বাবার সুগারটা বেড়েছে জেনে চিন্তা হচ্ছে। মেপে খেতে দিও। মা আর পুচু কেমন আছে জানিও। ৫. বিল্টুর মেয়ে হয়েছে শুনে খুব খুশি হলাম। ওরা সুখে থাকুক। বাকিদের খবর জানিও। আমরা বৃহস্পতির দিকে। ৬. কী বলব বুঝতে পারছি না! চোখের সামনে বারবার ভেসে উঠছে বাবার মুখখানা। বাবা বাজারের থলি নিয়ে ফিরছে। মাঝে মাঝে বাবার ঘরে ঢুকে দেখতাম টিভিটা চলছে, বাবা কখন জানি না ঘুমিয়ে পড়েছে। সাবধানে চশমাটা খুলে রেখে দিতাম। বড্ড দম বন্ধ হয়ে আসছে। এখানে অক্সিজেন আছে, কিন্তু হাওয়া নেই কোথাও এতটুকুও। ৭. গত কয়েকমাস ধরে বৃহস্পতি দেখলাম দূর থেকে। একটু একটু করে কাছে এলো আবার একটু একটু করে দুরেও সরে গেল তেমনি। চারিদিক অন্ধকার, থমথমে, জনপ্রাণীহীন। বড্ড মনে পড়ছে ওখানকার দিনগুলো। ততই ভারাক্রান্ত হয়ে উঠছে মন। যাই হোক, ভালো থেকো। ৮. সবকিছু বেশ ভালো করে মিটেছে জেনে খুশি হলাম। পুচুকে জানিও, ওদের আশীর্বাদ করলাম দূর থেকে। ওরা সুখী হোক। আমরা শনির পথে। এরপর কিছুদিন যোগাযোগ থাকবে না, জায়গাটা ব্ল্যাক জোন। তোমার শরীরের যত্ন নিও। মায়ের যত্ন নিও। ৯. মায়ের খবরটা পেলাম। বয়স হয়েছিল, কষ্ট পাচ্ছিল। পুচুকে বুঝিও, সবাইকে একদিন চলে যেতে হয় এভাবেই। যতদিন বাঁচা, তার মধ্যেই সবকিছু। মায়ের শাড়িতে যে মনখারাপের গন্ধ থাকে, সেটা আজও পাচ্ছি, এতকাল পরে এতদূর থেকেও। মায়া বড়ো জ্বালাতুনে, কিছুতেই পেছন ছাড়ে না। যাইহোক, তোমরা ভালো থেকো। আমরা আপাতত ইউরেনাসের দিকে। ১০. পুচুদের ডিভোর্সের খবরটা পেলাম। মনটা ভালো নেই। প্রিয় মানুষের কাছে থাকা যে কতটা শান্তির, সেটা হয়তো দূরে গেলেই বোঝা যায়। একই শহরে, একই বিছানায় থেকেও মানুষের মধ্যে কত ব্যবধান, তাই না? অথচ দ্যাখো, আমাদের মহাকাশযান আস্তে আস্তে দূরে চলে যাচ্ছে একটু একটু করে, তবুও আমরা... ওকে বুঝিও, সম্পর্কের টান অভিকর্ষের থেকেও জোরালো। ১১. পরিচিত অথবা পরিচয়হীন যা কিছু তোমাদের নিয়ন্ত্রণ করছে প্রতিনিয়ত, আমি তার কিনারায় এসে ঠেকেছি। আর একটু এগোলেই সম্পূর্ণ অন্য এক জগৎ, যেখানে তোমাদের কোনো নিয়মই আর খাটবে না সেভাবে। এতখানি পথ, এতগুলো বছর পেরিয়ে আসতে আসতে একটা কথাই ভেবেছি বারবার, এই ব্রহ্মাণ্ডে মানুষই হয়তো সব থেকে একলা এবং নির্জনতম প্রাণী। হয়তো বিজ্ঞানীরা একদিন বুঝতে পারবে, যে পৃথিবীর মতো আর একটাও গ্রহ নেই কোথাও। হয়তো একদিন প্রমাণিত হবে, ওই ফ্যাকাসে নীলচে রঙের গোলাকৃতি বস্তুটাই আমাদের একমাত্র উপযোগী বাসস্থান। সেইদিন সব খোঁজা শেষ হবে। সেইদিন সবাই সব কিছু ছেড়ে আবার ঘরে ফিরে আসবে শেষবারের মতো। এই কথাগুলো প্রতিধ্বনি হয়ে তোমার কাছে পৌঁছবে যখন, ততদিনে আমাদের মহাকাশযানটা এই অন্ধকারে এগিয়ে যাবে আরও অনেকটা পথ। আসতে আসতে মিলিয়ে আসবে সবকিছু। তবুও আমার স্থির বিশ্বাস, হয়তো কোথাও আবার একদিন দেখা হয়ে যাবে আমাদের। ততদিন, ভালো থেকো। ঘুমপাড়ানি মাসিপিসি খেয়ে, বাসনগুলো কলতলায় রেখে, এঁটো পরিষ্কার করে, ব্রাশ করে এসে অনুরাধা দেখল টিনটিন তখনও জেগে। ঘরের আলো জ্বালিয়ে একমনে মোবাইলে কার্টুন দেখছে। ‘এখনও ঘুমোসনি! এবার কিন্তু বাবার কাছে ফোন যাবে। বলে দিলাম।’ কিন্তু কে কার কথা শোনে। টিনটিনের কোনো হেলদোল নেই। উপায়ান্তর না দেখে মোবাইলটা ওর হাত থেকে কেড়ে নিল অনুরাধা। অমনি টিনটিন ভ্যা করে কেঁদে উঠল। ‘দিনদিন অবাধ্য হয়ে উঠছিস তুই। শিগগিরি ঘুমো। নাহলে বাবাকে বলছি।’¾ গম্ভীর গলায় বলল অনুরাধা। টিনটিন চোখ মুছে বলল,- ‘ছাদে যাব।’ ‘এখন নয়, কাল সকালে। এখন সোজা বিছানায় যাবি। যা এখুনি। কিন্তু পাছে আবার ভ্যা করে কেঁদে কেটে একাকার করে তাই অনুরাধার বারণ বেশিক্ষণ টিঁকে থাকল না। কিছু পরে নিজেই এসে বলল, ‘চল, কিন্তু পাঁচ মিনিটের বেশি নয়। এখন বাইরে হিম পড়ছে। ঠান্ডা লেগে যাবে।’ ‘হিম কী?’ সিঁড়ি বেয়ে ওরা দোতলার ছাদে উঠে এল। ন্যাড়া ছাদ। পুরোনো আমলের একটা চিলেকোঠা ঘর ছাড়া আর কিছু নেই। দক্ষিণে শুধু মাঠ আর খেত, উত্তরে দাঁড়ালে গ্রামের বেশ অনেকটা দেখা যায়। ওরা ওখানে এসে দাঁড়ায়। আকাশে তারা ফুটে আছে অজস্র, কলকাতায় থাকলে এসব কি আর দেখা যায়? শহরের কালো ধোঁয়ায় প্রকৃতির সবকিছু আটকে গেছে। এখানে আকাশ পরিষ্কার, আধখাওয়া আপেলের মতো একটা চাঁদ ঝুলছে সেখানে। সেই আলো এসে পড়েছে গ্রামের উপর। চারিদিকে কুয়াশা জমছে। মাঠের উপর সাদা হয়ে আছে এখানে সেখানে, যেন অদ্ভুত মায়াময় হয়ে আছে গোটা জগৎসংসার। রাস্তায় পঞ্চায়েতের হলুদ আলো জ্বলছে। বাড়িঘরগুলোর দাওয়ায় আলো না থাকলেও, ঘরের আলো বোঝা যাচ্ছে স্পষ্ট। চারিদিকে ঝিঁঝির ডাক। ‘চল, অনেক হয়েছে, এবার নীচে চল।- বলল অনুরাধা। ‘না, না, এখন নীচে যাব না।’- টিনটিনের জেদ। ‘যাবি না মানে? পাঁচ মিনিটের কথা ছিল, টিনটিন। এবার কিন্তু আমি রেগে যাচ্ছি।’-অনুরাধা গম্ভীর গলায় বলল,- ‘এবার কিন্তু ঘুমপাড়ানি মাসিপিসিকে ডাকতে হবে।’ ‘ডাকো গে যাও। আমি এখন এখানেই থাকব।’- টিনটিন গোঁ ধরে বসে গেল ওখানেই। ‘তাই, তো? ঠিক তো? ঠিক আছে।’- বলে এদিক ওদিক তাকিয়ে ভয় দেখানোর ভঙ্গিতে অনুরাধা বলল,- ‘ঘুমপাড়ানি মাসিপিসি, কোথায় তোমরা? এসো, টিনটিনকে নিয়ে ঘুমের দেশে যাও। এসো... কোথায় তোমরা? অবাধ্য টিনটিনকে নিয়ে যাও, এসো...’ টিনটিন একটু মিচকি হেসে মায়ের মুখের দিকে তাকিয়ে বলল, ‘কেউ আসবে না। কেউ নেই।’ অনুরাধা কী একটা উত্তর দিতে গিয়েও থমকে গেল। তার দৃষ্টি সামনের বাড়িগুলোর দিকে। দূর থেকে এক এক করে নিভে যাচ্ছে প্রত্যেকটা বাড়ির ঘরের আলো। ব্যাপারটা অদ্ভুত না? অনুরাধা আর-একটু ভালো করে দেখে, সত্যিই তো। লোডশেডিংয়ের মতো ঝুপ করে নয়, এক এক করে। সঙ্গে রাস্তার আলোগুলোও। নিভছে, আর তার সঙ্গে যেন আর-একটু নিস্তব্ধ হয়ে আসছে চারিদিক। এবং তারও সঙ্গে সঙ্গে কে যেন এগিয়ে আসছে। একজন নয়, দুজন। তাদের দেখা যাচ্ছে না, কারণ তারা অন্ধকারের সঙ্গে হাঁটছে। এক এক করে তাদের বাড়ির আলোটাও নিভে গেল। অনুরাধার সারা গা শিউরে উঠল আতঙ্কে। টিনটিনকে কোলে তুলে নিয়ে দৌড়ে সিঁড়ির দিকে ছুটে যেতেই বুঝতে পারল লাভ নেই, সিঁড়ি দিয়ে কারা যেন ক্রমশ উপরের দিকে উঠে আসছে। তাদের পায়ের শব্দ নেই কোনো, নিস্তব্ধতাই তাদের উপস্থিতি জানান দিচ্ছে। অনুরাধা দেখল চিলেকোঠা ঘরের দরজায় তালা দেওয়া। এবার কী হবে! ভাবতে না ভাবতে হঠাৎই সবকিছু নিস্তব্ধ হয়ে এল। চাঁদটাও মেঘে ঢেকে গেছে এতক্ষণে। চারিদিকে নীলাভ অন্ধকার। অনুরাধা আড়চোখে তাকিয়ে দেখল তাদের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে দুই আবছায়া নারীমূর্তি। চোখ বলতে কিছু নেই, তবু বেশ বোঝা যাচ্ছে তাদের প্রগাঢ় দৃষ্টি অনুরাধার দিকেই নিবদ্ধ। নিষ্ক্রিয়মান ইন্দ্রিয় জানান দিচ্ছে টিনটিনের দিকে ক্রমশ এগিয়ে আসছে দুজোড়া অন্ধকার বাষ্পময় হাত। অনুরাধা বুঝতে পারল তার জ্ঞানশক্তি লোপ পাচ্ছে একটু একটু করে, বুকের মধ্যে টিনটিন কাঁপছিল কিছুক্ষণ আগেও, এখন শান্ত। ‘ফিরে যাও তোমরা, ফিরে যাও’- প্রাণপণ চেঁচিয়ে উঠল অনুরাধা। সঙ্গে সঙ্গে দপ করে জ্বলে উঠল চাঁদটা। অনুরাধা দেখল- কেউ কোথাও নেই! টিনটিনও নেই!
- উপন্যাস-১ | Manikarnika.Pub
উপন্যাস জীবনের গতিধারা লিপিবদ্ধ করে আছে যারা... মণিকর্ণিকার আশ্চর্য কিছু উপন্যাসের সঙ্গে আপনার দেখা হোক! নিঃশব্দ পাহাড় শুভদীপ বড়ুয়া আফগানিস্তানের শাওর বিপ্লবের আঁচে পা রাখে মার্কিন দাবা সাংবাদিক স্যাম। তার সঙ্গে আলাপ হয় বিষণ্ণ আফগান সুন্দরী মাহিলের। অথচ তাদের ভেতর প্রাচীর হয়ে দাঁড়ায় কাল। উত্তপ্ত কাল। দ্রুত বদলে যায় আফগানিস্তান, সঙ্গে স্যাম ও মাহিলের জীবন। আরও পড়ুন... দেশ কাল অশোক চৌধুরী ১৯ শতকের বাংলা। রামকৃষ্ণের জন্ম ও জীবন। কবিরাজ বিমলাচরণ চক্রবর্তী কেন্দ্রিক উপন্যাস। হিন্দু প্যাট্রিয়ট। বিদ্যাসাগর। সিপাহী বিদ্রোহ। আরও পড়ুন... নিঃশব্দ পাহাড় (দ্বিতীয় খণ্ড) শুভদীপ বড়ুয়া একবার আফঘানিস্তান ত্যাগ করেও আবার ফিরে আসে স্যাম। মাহিল তাকে ডাকছে। মার্কিনি চর সন্দেহে গ্রেপ্তার হয় স্যাম। বহু চেষ্টার পর সে পালায়। কিন্তু তারপর? তিন খণ্ডে সমাপ্য এই সুদীর্ঘ উপন্যাসের প্রতিটি খণ্ডই স্বতন্ত্র, আশ্চর্য, ও অদ্বিতীয়। আরও পড়ুন... চিঠি দিয়ো লাল তারা শাশ্বত বন্দ্যোপাধ্যায় দুচোখে সমুদ্র চষার স্বপ্ন নিয়ে চুপিচুপি বাড়ি ছেড়ে চলে যায় বিজন। বহু বছর পর এক বিশেষ কারণে ফিরে এসে দ্যাখে তার দাদার ছেলে রুকু বড়ো সুন্দর হয়েছে। বিজনকে বড্ড ভালোবেসে ফেলে রুকু। আর অমনি আশ্চর্য কত কিছু ঘটতে থাকে ওদের জীবন।......পরিবারে জন্ম নেয় তীব্র টানাপোড়েন। বিজু কি তাহলে চলে যাবে? আর রুকু, সে-ই বা কেমন করে থাকবে তার কাকুমণিকে ছাড়া? বড়ো হওয়ার পথে কোত্থেকে শক্তি পাবে সে? আরও পড়ুন... নৃমুণ্ডের মীমাংসা রাজা সরকার মুক্তিযুদ্ধের টানাপোড়েনের মাঝে পড়ে যায় সম্পন্ন হিন্দু গৃহস্থ ধলা মজুমদার ও তার পরিবার। দেশভাগের পরেও বুক-ভরা আশা নিয়ে তারা রয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশে। অথচ দিনে দিনে চারধারে জেগে ওঠে অসহিষ্ণুতা, অচেনা হয়ে যায় জন্মাবধি চেনা মানুষজন। একে একে দেশত্যাগ করে অজস্র হিন্দু পরিবার; কেউ কেউ বদলে নেয় ভিটেমাটি। ধলা পারে না। কোনো ভয়ের বশে দেশত্যাগ করাকে সে মনে করে পরাজয়। মনে করে জীবনের পরম অসার্থকতা।...খণ্ড খণ্ড হয় জন্মভূমি। কেবলই আরও আরও পৃথক হতে থাকে রাষ্ট্র ও দেশ। আরও পড়ুন... ভরতরাজার দুটুকরো দেশ পরিতোষ সরকার বারবার ভাগ হয় ভূখণ্ড। তার প্রাণ নেই। কিন্তু যারা পরিকল্পনা করে এই বাটোয়ারার তারা খেয়াল করে না একবার ভূভাগ হলেই সহস্র টুকরোয় ভেঙে যায় মানুষ। সেই কোন কাল থেকেই একথা বেমালুম ভুলে থাকছে বিভেদের কাণ্ডারিরা। এই বিস্মৃতির শিকার হচ্ছে ভরত সুবল গৌরী লক্ষ্মী মালতি।... আরও পড়ুন... কল্পবাস দেবব্রত পাল পরনে গেরুয়াবসন, বহুকাল পর পিতৃগ্রামে এসে দাঁড়ালেন সূর্যশেখর। কল্পবাস গ্রাম। যার ভূত-ভবিষ্য রঘুবাবু আর বিলাস ঘোষের মতো নেতা-মস্তানদের আঙুলে নাচ করে। ... কোন অতীতের তাড়নায় অহরহ জ্বলছেন সূর্যশেখর ওরফে সান? আর কোনো লুকোনো নাম আছে নাকি তার? আরও পড়ুন... সর্জন পল্লব দাস ...প্রতিটি জীবন্ত ছবি, সিনেমার মতন। তিনি কলমের খোঁচায় একটি করে গেঁথে আটকে দিতে থাকেন খাতার পাতায়। এক একটি ছবি হয়ে যায় শব্দের রাশি। শব্দ দিয়ে তৈরি হয় একটার পর একটা গল্প— তার নিজের গল্প। মিহিরের গল্প। মিহির জানেন, এসবই তার জীবন, তার অতীত, তার বর্তমানজুড়ে লেখা। এ বই আসলে আয়নার মতন। আরও পড়ুন... এক পুঁচকে কালো মাছের গল্প সৈকত ভট্টাচার্য্য সামাদ বেহরাঙ্গী ছিলেন ইরান দেশের ‘উদয়ন পণ্ডিত’। বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধে এমন এক ‘হীরকরাজার দেশ’ বোধহয় জেগে উঠেছিল বাস্তবের মাটিতে। এবং ছবির পর্দার রাজার চেয়ে বাস্তবের রাজার ক্ষমতা সচরাচর অনেক বেশিই হয়। আর তাই উদয়ন পণ্ডিতদের মৃত্যু হয় বারবার। যদিও এই মৃত্যু অসংখ্য মানুষের মধ্যে একজনকে হলেও নাড়া দিয়ে যায়, আর সে-ই ধীরে ধীরে হয়ে ওঠে আগামীর উদয়ন পণ্ডিত। আরও পড়ুন... তরুবালা ও এক পলায়নকারী মধুময় পাল গলিতে পুলিশ ঢুকছে। চালে টর্চের আলোর ওড়াউড়ি। সায়ম সহজে ধরা দেবে না। সে দ্যাখে, এক অপরূপা নেমেছে মাটিতে, ফুল-ছাপ শাড়ি কুণ্ঠিত করে তার শরীর ফুটেছে কমলকলি হয়ে।... আরও পড়ুন... বাঘমামার ভ্রমণ সুদেষ্ণা মৈত্র বাঘমামার ভ্রমণের ওপর একটি শিশুপাঠ্য উপন্যাস। আরও পড়ুন... (পক্ষীরাজ প্রকাশনী) বর্গমাইলের পদাতিক রাজা সরকার রাজনৈতিক ঘূর্ণাবর্তে পড়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে চলে আসে সুবোধ। প্রথমে ঊর্মিলার আশ্রয়ে, তারপর জাহানারার সঙ্গে শুরু হয় তার আকস্মিক সংসার। কিন্তু আবার দেশে ফেরা। সেখানে কুসুম রয়েছে। রয়েছে অতিথপুর। আর কি ফিরে আসে সে? আরও পড়ুন... সাবর্ণিজাতক রক্তিম মুখার্জি মর্ত্যলোকে দুর্গাপুজো প্রচলনের ইতিহাস-কল্পনা মিশ্রিত এক অপূর্ব গাথা। আরও পড়ুন... রূপকাঠের নৌকা মধুময় পাল ...কুমুদির পিছনে একটা ছায়া ঘরে ঢুকল যেন, দেখল রুদ্র। আরও পড়ুন...
- Self-Funded Publication | Manikarnika Prakashani
We offer honest and professional deals নিজের বইয়ের আর্থিক দায়িত্ব বহন করা কোনো অপরাধ নয়। যদি নিজের লেখার ওপর আত্মবিশ্বাস থাকে, তাহলে একে বিনিয়োগ হিসেবে দেখুন। হতে পারে এই বইই হয়ে উঠল আপনার উপার্জনের প্রিয়তম উপায়। তার জন্য চাই লেখক-প্রকাশনের পেশাদারি মেলবন্ধন। আপনার পাণ্ডুলিপি নিয়ে কথা বলুন আমাদের সঙ্গে। কথা বলুন কথা বলুন SELF-FUNDING IS BEING CONFIDENT. It's pure investment. When do you self-fund your upcoming title? No, not when you are drowned in a vacuous dream of fame and money. This is an outdated and conservative way of looking at self-publishing. Our POV is different. Very different. We look at it this way: You self-fund only when you are SURE that your title is going to be an eye-catcher! And, soon! Why Self-fund? Non-syllabus Bengali book publication is most of the times a low return business. The publishers suffer from fund scarcity, almost always. Our current practice of advertisement also lacks diversity. Digital Marketing hasn't become popular like it has become in the other shopping genres; primarily because we are yet not culturally ready to intricately combine 'Books' and 'Digital Marketing' (may be because of the 'untouchable' word 'Marketing'!). We nurture a super-glorified holy idea of books, and plainly refuse to appreciate its commodity character. So, the commerce suffers. With dwindling capital and restricted means of marketing, the publishers often fail to sponsor new titles, unless they could get some surety about the returns. This is not a crime. This is normal. All businesses run this way. It's all about the potential to discover the gold beneath the mud-cover! What to do then? A publisher might not find prospect in your new manuscript. He might be wrong, or sometimes right. No offense. Here, it is YOU who can make a difference! Yes, You! You can act as an investor and build-up a partnership with the publisher and self-fund your title, ONLY & ONLY IF the publisher is transparent and honest. How transparent and honest? Simple. If there is any profit from the book, you should get the proper dividend. That's all. Who is that kind of a publisher? Any recommendation? Invest With US! Wait. Wait. Why? Why with you on Earth? Because from the core we are honest. Transparent. Punctual. We know what we are doing, and how to do our job well. We are ready to look at your title exactly like an intellectual investment and we promise to leave no stone unturned to make it known to the readers. After relentless brainstorming we have come up with several models and formats of self-publishing, unparalleled in the world of publishing, especially Bengali Publishing. Are you offering to run on a loss? No. Absolutely not. We are doing business and like each and every entrepreneur we also do business to earn revenues. We are just saying, we will help you to earn revenues from your intellectual investment, and in this process gather our earnings too. No loss on anybody's part. Then... Our highly trained and dedicated team is at a phone call's away waiting to collaborate with you. So, why wait? If you are considering an option of self-funding, just give us a call at 8240333741 and let's have a coffee over phone! WE WANT TO HELP YOU TO BECOME A PUBLISHED AND SUCCESSFUL AUTHOR.
- প্রবন্ধ-৮ | Manikarnika.Pub
প্রবন্ধ
- তরুবালা ও এক পলায়নকারী । মধুময় পাল | Manikarnika.Pub
তরুবালা ও এক পলায়নকারী । মধুময় পাল বিষয় : উপন্যাস প্রচ্ছদ : শাশ্বত বন্দ্যোপাধ্যায় মূল্য : ₹ ২২০ প্রকাশনা : মণিকর্ণিকা প্রকাশনী যোগাযোগ (কল ও হোয়াটস্অ্যাপ) : 8240333741 আগ্রহী পাঠকদের জন্য বইটির একটি অংশ এখানে দেওয়া হল। ডব্লিউ ডব্লিউ এফ-এর নরদানবদের গটআপেও একটা ফাইট থাকে, নীতীশ খেলায় এলই না! তরুবালাকে সায়ম জিজ্ঞেস করেছিল, তুমি কী জানো, নীতীশ চুপ থাকল কেন? এত অবাক তরু আগে কখনও হয়নি। এক বন্ধু অন্য বন্ধুকে চিনতে পারে না, বন্ধুত্ব বলে কোনো সম্পর্কে বিশ্বাস করে না বা বন্ধুত্বকে ছলনা মনে করে - তরু ঢের দেখেছে। কিন্তু সায়ম ও নীতীশের প্রায় তিন যুগের গূঢ় সম্পর্কে অপরিমেয় অপরিচয় জেনে সে স্তম্ভিত হয়। তরুবালা জানাল, নীতীশ তখন শাঁখাইঘাটে বর্ষার অজয়ের তীরে জনৈক শ্রীধরের পূর্বপুরুষের বৃত্তান্ত শুনেছে, শরতের জিয়াগঞ্জে খচ্চরে টানা গাড়ির বিহারি চালকদের গ্রামের বাড়ির খোঁজখবর নিয়েছে, সুরুলে হেমন্তের বিকেলে পুকুরে নেমে হাততালি দিয়ে ফড়িং উড়িয়েছে। নীতীশ এরকম করে, ভাবতেই পারে না সায়ম। এ নীতীশকে সে চেনে না। আপাদমস্তক নীতিহীন, ধান্দাবাজ, ভণ্ড, লোভী, এবং প্রচ্ছদে অত্যন্ত শোভন, সুভাষ একটা নীতীশকেই সে চেনে। তারই কথা হচ্ছে। তরুবালা যে নীতীশের কথা বলছে সে কি বানানো? মেয়েটা হয়তো এরকম এক নীতীশকে চেয়েছিল যে পুকুরে নেমে হাততালি দিয়ে ফড়িং ওড়াবে, গাছে উঠে কালোজাম পেড়ে দেবে, দূরের বাগান থেকে এনে দেবে গুলঞ্চ। তরুবালা তার স্বপ্নের নীতীশের ছবি তুলে ধরছে। পুকুরে নেমে ফড়িং ওড়ানোর চেয়ে পেসমেকারের এজেন্টের সঙ্গে কমিশনের পার্সেন্টেজ নিয়ে কথা বলে নীতীশ অনেক বেশি তৃপ্তি পায়। গাড়োয়ানের গ্রামের বাড়ির খবর শোনার চেয়ে সে ঢের বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে করে রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্যদের অতীতের খুঁটিনাটি জানা। নীতীশ হয়ে থাকতে নীতীশকে প্রচুর সময় দিতে হয়। ওর হাতে নষ্ট করার সময় নেই। সায়ম তরুবালাকে এসব বলবে না। গ্রহণ করতে পারো না, এটুকু সাহসও নেই, অসহায় শিশুকে মেরে ফেলার কথা ভাবো! তোমার না আছে সংযম, না সাহস। তুমি একটা লাফাঙ্গা, এবং তুমি যার সঙ্গে লাগিয়েছ সে-ও তাই। সভ্যতার তিনটি মূল্যবান শব্দ ও ধারণা - প্রেম, সাহস, শিশু - তোমরা বিষ্ঠালিপ্ত করেছ। কথাগুলো বলতেই পারত নীতীশ। বলেনি। কিন্তু না বলাটা কি সায়মের পাপের স্মারক হিসেবে আগলে রাখা নয়? সায়মকে নিয়ত বিদ্রুপ করা নয়? সায়মের যাবতীয় মূল্যবোধের কথাবার্তাকে অন্তঃসারশূন্য করে দেওয়া নয়? আপশোশ হয়, এত বড়ো ভুল সে করতে গেল কেন? নীতীশের হাতে ভয়ংকর ডকুমেন্ট তুলে দিল! যা দিয়ে নীতীশ সায়মের সৎ সাধু বেঁচে থাকাকে যে কোনোদিন ফাঁসিয়ে দিতে পারে। সেই বাবাকে সেদিনের শিশু এখন আক্রমণ করছে। এটা সায়মের প্রাপ্য।





