তিব্বতের ইতিহাসকে গল্পচ্ছলে লিখেছেন সৈকত ভট্টাচার্য। ভারতবর্ষের চূড়ায় রহস্যের আলোয়ান টেনে চুপটি করে আছে এক মস্ত দেশ। তাকে ঘিরে মানুষের কৌতুহলের শেষ নেই। ডাকিনীতন্ত্র বৌদ্ধধর্ম গুরু পদ্মসম্ভব অতীশ দীপঙ্কর রাজনৈতিক দখলদারী – সমস্ত কিছু নিয়ে পরতে পরতে কুয়াশা রক্তপাত আর প্রজ্ঞালোকের জন্ম দিয়েছে তিব্বত। আশ্চর্য, অত্যাশ্চর্য এক দেশ। অতীশ দীপঙ্কর ও তার তিব্বতে যাওয়ার পরবর্তী সময়কাল নিয়ে লিখেছেন অনেকেই। কিন্তু সৈকতের বইটি অতীশের ঠিক আগে পর্যন্ত ইতিহাস ধারণ করে আছে। এতদূর অবধি তিব্বতী ইতিহাস লেখা কঠিন। কারণ এই পর্যায়ের ইতিহাস বারংবার মিশে গেছে ইতিকথা লোককাহিনি আর ধর্মকথার সঙ্গে, কেন না দীর্ঘকাল যাবৎ কোনো লিখিত ইতিহাস ছিল না এ-দেশের। লিখিত ইতিহাস দূরস্থান, কোনো লিপিই ছিল না তিব্বতের। সেই সমস্ত কাহিনি সরস ভঙ্গিমায় লিখেছেন সৈকত, যতখানি সম্ভব বর্জন করেছেন কাঠিন্য, আবার সযত্নে তুলে রেখেছেন যতেক খুঁটিনাটি, সব মিলিয়ে ‘উত্তরে আছে মৌন’ হয়ে উঠেছে পূর্ণাঙ্গ এক গল্পেতিহাস গ্রন্থ, যাকে আমরা বলছি ‘A Story-told History’।
উত্তরে আছে মৌন । সৈকত ভট্টাচার্য
উত্তরে আছে মৌন বইটির প্রথম পরিচ্ছেদটি পড়ার জন্য অনুগ্রহ করে ছবির ওপর (+) চিহ্নতে ক্লিক করুন।