‘পালামৌ’ আখ্যানটি ইতোমধ্যে কয়েকবার বই রূপে প্রকাশিত, এবং বর্তমানেও সুলভ। তবু পাঠ-অভিজ্ঞতাকে ভ্রমণ-অভিজ্ঞতা করে তোলবার প্রেরণায় তাড়িত হয়ে পরিচিত সে ভ্রমণকাহিনির আরেকটি সংস্করণ প্রকাশ করছে মণিকর্ণিকা প্রকাশনী। আশ্চর্য লেখাটির সঙ্গে সাজিয়ে দেওয়া হল শিল্পী ঋভু চৌধুরীর মোমরঙে আঁকা কয়েকটি সজীব ছবি, প্রচ্ছদে রইল তাঁরই একটি ছবি। নির্জন পালামৌ অঞ্চলে পাঠকের যাত্রাটি হোক রূপময় ও তথ্যভারহীন, এমনটাই আমাদের অভিলাষ। সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের রচনাটি প্রকাশিত হয়েছিল ‘বঙ্গদর্শন’ পত্রিকায় (পৌষ ১২৮৭ – ফাল্গুন ১২৮৯), ছয়টি পরিচ্ছেদে; সেই পাঠই প্রকাশ করা হল। পুরোনো বানান রইল অবিকল। একটি জায়গা পাঠককে বর্তমান নামে চেনানোর জন্য শুধু একস্থানে যুক্ত হল প্রয়োজনীয় ফুটনোট। পড়বার সময় অক্ষর-রেখা-ছবি-পাতা ছাপিয়ে এই বই যদি হয়ে ওঠে এক আক্ষরিক অঞ্চল- বৃক্ষে আকীর্ণ, ‘মধুদ্রুম’-এর ফুলে রঙিন, ও ‘মৌয়া’গন্ধে আকুল- তাহলে পুনর্প্রকাশ সার্থক হয়।
প্রকাশক