সম্পূর্ণ বর্ষাকাল ভগবান ঋষিপত্তনের যে কুটিরে কাটিয়েছিলেন তাকে ‘মূলগন্ধকূটিবিহার’ বলা হয়। বোধিলাভের পর থেকে তিনি আজীবন যেখানে যে যে কুটিরে অবস্থান করেছিলেন সেই সব কুটিরকেই ‘গন্ধকূটিবিহার’ বলা হয়। সম্ভবত ভিক্ষুগণ ভগবানের কুটিরে পুষ্প প্রদান করতেন এবং সুগন্ধি দ্রব্য জ্বালতেন বলে এইরূপ নামকরণ হয়েছিল। আর ঋষিপত্তনের কুটিরে তিনি প্রথমবার অবস্থান করেছিলেন বলে হতে পারে তার নাম মূলগন্ধকূটিবিহার। এই কুটিরের ধ্বংসাবশেষ আজও বর্তমান সারনাথে বিদ্যমান।
বারানসীতে যশ আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠলেন। এমনিতেই সম্পন্ন পরিবার নিয়ে আলোচনা হয়, তার উপর হঠাৎ সন্ন্যাস গ্রহণ সকলকে কৌতূহলী করে তুলল। দাসদাসীদের মাধ্যমে প্রায় প্রত্যেক গৃহে যশ ও তথাগতকে নিয়ে আলোচনা শুরু হল। বারানসীর মানুষের ধারণা হল যে, ঋষিপত্তনে কে এক শ্রমণ গৌতম এসেছে, সে কী এক জাদু করে যশকে বশীভূত করেছে। কিন্তু শ্রমণ গৌতমের অনেক জাদু তখনও বাকি ছিল। অল্প কিছু দিনের মধ্যেই যশের প্রভূত পরিবর্তন দেখে তাঁর চার বন্ধু প্রবজ্জা গ্রহণ করে ভিক্ষুসংঘে যোগদান করলেন। বর্ষাকাল শেষ হবার আগেই যশ ও তাঁর চার বন্ধুর আত্মীয়-পরিজন ও বন্ধুবান্ধবদের মধ্যে থেকে আরও পঞ্চাশজন প্রবজ্জা গ্রহণ করলেন। সবমিলিয়ে ভিক্ষুসংঘে ভিক্ষুর সংখ্যা দাঁড়ালো ষাট। বারানসীবাসী এবার বলতে শুরু করলেন, শ্রমণ গৌতম সধবাদের তাদের স্বামী থাকা সত্ত্বেও বিধবা বানায়।
বর্ষাকাল শেষের প্রাক্কালে একদিন ধ্যানমগ্ন অবস্থায় ভগবান উপলব্ধি করলেন ধর্মের ব্যাপ্তি আরও বিস্তৃত করতে হবে। প্রবজ্জা গ্রহণকারী ভিক্ষুর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। বিভিন্ন দিক থেকে ভিক্ষুগণ ধর্মের স্রোতে এসে মিলিত হচ্ছেন। অতএব এখন থেকে আমি শুধু একা প্রবজ্জা প্রদান করব না, বরঞ্
top of page