বাংলা ছোটগল্প পড়া হয়ে ওঠে না, বিশেষত এখন যাঁরা লেখেন, তাঁদের গল্পগুলো খুব একটা মনে ধরে না। অত্যন্ত প্রথাগত একটা periphery-এর মধ্যে গল্পগুলো ঘোরে। আবার কিছু গল্প আছে যা মারাত্মক pretentious মনে হয়। কিছু গল্প এমনও আছে যা জোর করে সাব-অল্টার্ন হতে গিয়ে গল্পই হয়ে ওঠে না।
কিন্তু রিসেন্টলি দুটো গল্প পড়লাম একই লেখকের। খুবই ভালো লাগল পড়ে। লেখকের নাম অপ্রতিম চক্রবর্তী। গল্পগুলো হল - 'বিজন বাতায়নে' আর 'ছায়ানট'। দুটো গল্পই সম্পর্কের টানাপোড়েন নিয়ে, কিছুটা ক্লাসিকাল ধাঁচে, কিন্তু যে মুনশিয়ানার ছাপ রেখেছে অপ্রতিম তা এক কথায় অবাক করেছে আমায়। অপ্রতিমের ভাষার দখল শক্তিশালী। কিন্তু শুধু ভাষার দখল দিয়ে গল্প তৈরি হয় না। গল্পগুলোর বুনন খুবই সূক্ষ্ম, বিশেষত 'বিজন বাতায়নে' গল্পটির। চলনও অনায়াস ও ভণিতাবিহীন। আমি জানি না অপ্রতিম কেন নিয়মিত গল্প লেখে না। কয়েকদিন আগে ওর লেখা বই হাতে পেলাম। বইটিতে মাত্র দুটো মৌলিক ছোটগল্প আছে। বাদবাকি লেখাগুলো প্রবন্ধ, আর দস্তয়ভয়স্কির একটি গল্পের অনুবাদ। আশা করছি নিকট ভবিষ্যতে অপ্রতিম নিজের ছোটগল্পের একটি সম্পূর্ণ সংকলন প্রকাশ করবে।
- সায়ন্তন গোস্বামী
コメント