top of page

চলো যাই লঞ্জেসের দেশে । সুদেষ্ণা মৈত্র

2

বিষয় : ছোটোদের গল্প
প্রচ্ছদ : ঈশ্বর কর্মকার
মণিকর্ণিকা প্রকাশনী
মূল্য : ₹১৮০
যোগাযোগ (কল ও হোয়াটস্অ্যাপ) : 8240333741

 

 

 
 
 
আগ্রহী পাঠকদের জন্য বইটির একটি গল্প এখানে দেওয়া
হল।
Amazon Button PNG.png
Our Store Button PNG.png

স্কুলে এল নতুন বন্ধু

পশু ইস্কুল। গরিলা হেডস্যার। স্কুলে বিড়াল, কাঠবিড়ালি, টিকটিকি, ইঁদুর, অনেকেই পড়ে। আজ এ্যাসিমলিতে হেড স্যার এসে বললেন, ‘স্টুডেন্স, আজ তোমাদের ক্লাসে এক নতুন বন্ধু আসবে, সবাই মিলেমিশে থাকবে। নতুন বন্ধু নিজেদের জিনিসপত্র, টিফিনের ভাগ দেবে কিন্তু! শুনেছি বিড়াল ভায়া নতুন বন্ধু এলে একটু দুষ্টুমি করে থাকো, এবার কিছু যেন না শুনি। নিজেদের ক্লাসে চলে যাও।’

    ক্লাসে ঢুকেই বিড়াল জানলার কাছে চলে গেল। দেখল গায়ে খোঁচা খোঁচা কেমন যেন দেখতে একজন টিয়া ম্যামের হাত ধরে আসছে। সে চেঁচিয়ে বলল, ‘নিউ ফ্রেন্ড আসছে রে। গায়ে খোঁচাখোঁচা জামা। আমার পাশে বসবে না কিন্তু।’

    কাঠবিড়ালি বলল, ‘আবার শুরু করলি! তোর উৎপাতে ইঁদুর ভায়ারা কতদিন স্কুলে আসেনি। সেই জন্য তুই বকাও কম খাসনি।’

    বিড়াল মুচকি হাসল। এর মধ্যে টিয়া ম্যামের হাত ধরে প্রবেশ করল সজারু সিং। টিয়া ম্যাম বলল, ‘গুড মর্নিং স্টুডেন্স।’

    সবাই বলল, ‘ গুড মর্নিং মিস।’

    টিয়া ম্যাম বলেন, ‘তোমরা তো শুনেছ, তোমাদের নতুন বন্ধুর কথা। এ হল সজারু সিং। আমি আসছি একটা খাতা নিয়ে। তোমরা সকলে ভাব করে নাও।’

ক্লাসের সবাই ওকে ঘিরে ধরল। নিজের নিজের নাম বলল। বিড়াল লেজ ফুলিয়ে মুচকি হেসে হাত বাড়িয়ে ‘আমি বিড়াল ভায়া’ বলেই সজারুর গায়ে হাত রাখতে গিয়ে ‘উফ’ করে উঠল। তারপরই রেগে গেল। চিৎকার করে বলল, ‘এমা প্রথমদিনই আমায় ব্যথা দিলে।’

    সজারু কাঁদতে লাগল। টিয়া ম্যাম এসে সব শুনেই খুব বকলেন সবাইকে। তারপর সজারুর হাত ধরে ক্লাস থেকে চলে এলেন। কাঠবিড়ালি ছুটল পিছন পিছন। টিয়া ম্যামকে ডেকে সব খুলে বলল। টিয়া ম্যাম বললেন, ‘ছুটির পরে এসো তো একবার।’

    ছুটির ঘণ্টা বাজতেই মা-সজারুর কাছে সজারু সিং ছুটে গিয়ে কাঁদতে থাকল। বারবার বলল, ‘কাল আর স্কুলে আসবে না।’ মা সজারু কিছু না বলে ওকে নিয়ে বাড়ির দিকে হাঁটা দিলেন।

    স্কুলের পর টিয়া ম্যাম আর কাঠবিড়ালি এল এক তাঁতির বাড়ি সুতো কিনতে। সুতো নিয়ে চলল দর্জির বাড়ি, মানে টুনটুনি পাখির কাছে। সব শুনের টুনটুনির মাথায় হাত। এত তাড়াতাড়ি কী করে বানাবে। কাঠবিড়ালি তার দলবল ডাকল। বনের সব টুনিভাইদের ডেকে আনা হল। সারা রাত ধরে সাদা সাদা কীসব তৈরি হল।

    পরের দিন সজারুর মা সজারু সিংকে অনেক বুঝিয়ে স্কুলে নিয়ে এলেন। স্কুলে ঢুকতেই দেখা গেল টিকটিকি ঢোল বাজাচ্ছে, ইঁদুরের দল ভেঁপু, কেউ বাঁশি আর বিড়াল ভায়া বিরাট রঙিন কাগজে মোড়া একটা বাক্স সজারু সিংয়ের হাতে দিল। সজারু সিং অবাক। সবাই একসঙ্গে সুর করে বলে উঠল, ‘সরি।’

    তারপরই সবাই রঙিন কাগজের বাক্সটি খুলতে বলল। সজারু ভেবে পাচ্ছে না কি বলবে, কী করবে। কচরমচর করে বন্ধুরাই খুলে দিল। সজারু সিং দেখল সবাই মিলে সাদা সাদা ছোটো টুপি ওর কাঁটার মাথায় লাগিয়ে দিচ্ছে। সজারু সিং কিছুটা হতবাক হল। তারপরই সবাইকে জড়িয়ে ধরল। দূর থেকে টিয়াম্যাম আর গরিলা হেড স্যার দেখছেন আর হাততালি দিচ্ছেন।

bottom of page